নড়াইলে পারিবারিক কলহের জেরে হত্যা, গ্রেফতার -১

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী গ্রামে পারবারিক কলহের জেরে খাদিজা বেগম (২৬) হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত মিঠু ফকির (২৬) কে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাতে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদারা খান বার্তা বাজারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

 

গ্রেফতারকৃত মিঠু ফকির নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পেড়লী গ্রামের মইনুল ফকিরের ছেলে।

উল্লেখিত গত বছরের রবিবার (২২ডিসেম্বর ) রাতে খাদিজার স্বামী রমিজ শিকদারের বাড়ীতে গিয়ে জানায় খাদিজা বেগমের সাথে জুবেল শিকদারের বিয়ে হয়ে গেছে। খাদিজা বেগমকে আমাদের কাছে দিয়ে দাও। তখন রমিজ শিকদার তার স্ত্রী খাদিজা বেগমকে তাদের সাথে দিতে না চাইলে উপস্থিত সকলের সাথে রমিজ শিকদার এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উক্ত বিষয় নিয়ে রমিজ শিকদার প্রতিবেশী লোকজন ডাকার জন্য বাহির হয়ে গেলে ভিকটিম খাদিজা বেগমকে জুবেল শিকদার,জাহিদুল শিকদার, জহিরুল শিকদার, ময়না বেগম,স্বাম সলিমা বেগম,মিঠু ফকির। জুবেল শিকদারের বাড়ীতে নিয়ে যায়। উক্ত বিষয় নিয়ে এলাকায় সমালোচনা শুরু হলে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে জুবেল শিকদারের ঘরের মধ্যে ভিকটিম খাদিজা বেগমের সাথে জাহিদুল শিকদার সহ অন্যান্য মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে জাহিদুল শিকদার ক্ষিপ্ত হয়ে তার কাঠের ঘরের দরজা আটকানো ডাসা/খিল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে খাদিজার মাথা লক্ষ্য করে বাড়ি মারলে উক্ত বাড়ি মাথার ডান পাশের পিছনে লেগে মারাত্মক হাড়ভাঙ্গা রক্তাক্ত জখম হয়। তখন তার নাক, মুখ, কান দিয়ে অনবরত রক্ত বের হতে থাকে। ভিকটিম খাদিজা বেগম মাটিতে পড়ে মরণ যন্ত্রনায় গড়াগড়ি শুরু করলে অন্যান্য আসামিরা তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, চড় লাথি, ঘুষি মেরে ফোলা জখম করে। একপর্যায়ে সকল আসামীরা ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে খাদিজা বেগমের জ্ঞান না ফিরলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। ঘটনার বিষয়ে রমিজ শিকদারের ভাগ্নি ঝুমি, মোবাইল ফোনে ভিকটিমের পিতাকে সংবাদ দিলে ভিকটিমের পিতা তাৎক্ষনিক তার পরিবারের লোকজন সহ অন্যান্য লোকজন নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই।

ঘটনার পরদিন ভিকটিমের জ্ঞান ফিরলে আসামিদের কার্যকলাপের বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। ভিকটিম খাদিজা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১২ ডিসেম্বর) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মো.আব্দুল্লাহ মোল্যা বাদী হয়ে কালিয়া থানায় এজাহার দায়ের ও মামলা করেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জব্বার মন্ডলের নামে একাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডি, থানায় জিডি

» ঈদের আনন্দ ৫ আগস্ট শুরু হয়েছে : শিবির সভাপতি

» আমি একটা সংগঠন করতাম, যেটা বলতে এখন লজ্জা হয়: জামায়াত আমির

» ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে এবারের ঈদ আনন্দমুখর হয়ে উঠেছে: প্রিন্স

» সংস্কার সংস্কারের মতো, নির্বাচন নির্বাচনের মতো চলবে: মির্জা ফখরুল

» কলকাতাকে হারিয়ে যে রেকর্ড গড়লো মুম্বাই

» অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে: তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা

» হার্ট ভালো রাখতে যে ৫ ফল খাবেন

» আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠিত করার সবুজ সংকেত দেননি শেখ হাসিনা

» চীনের যুদ্ধ বিমানে বাংলার আকাশ রক্ষা

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নড়াইলে পারিবারিক কলহের জেরে হত্যা, গ্রেফতার -১

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী গ্রামে পারবারিক কলহের জেরে খাদিজা বেগম (২৬) হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত মিঠু ফকির (২৬) কে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাতে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদারা খান বার্তা বাজারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

 

গ্রেফতারকৃত মিঠু ফকির নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পেড়লী গ্রামের মইনুল ফকিরের ছেলে।

উল্লেখিত গত বছরের রবিবার (২২ডিসেম্বর ) রাতে খাদিজার স্বামী রমিজ শিকদারের বাড়ীতে গিয়ে জানায় খাদিজা বেগমের সাথে জুবেল শিকদারের বিয়ে হয়ে গেছে। খাদিজা বেগমকে আমাদের কাছে দিয়ে দাও। তখন রমিজ শিকদার তার স্ত্রী খাদিজা বেগমকে তাদের সাথে দিতে না চাইলে উপস্থিত সকলের সাথে রমিজ শিকদার এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উক্ত বিষয় নিয়ে রমিজ শিকদার প্রতিবেশী লোকজন ডাকার জন্য বাহির হয়ে গেলে ভিকটিম খাদিজা বেগমকে জুবেল শিকদার,জাহিদুল শিকদার, জহিরুল শিকদার, ময়না বেগম,স্বাম সলিমা বেগম,মিঠু ফকির। জুবেল শিকদারের বাড়ীতে নিয়ে যায়। উক্ত বিষয় নিয়ে এলাকায় সমালোচনা শুরু হলে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে জুবেল শিকদারের ঘরের মধ্যে ভিকটিম খাদিজা বেগমের সাথে জাহিদুল শিকদার সহ অন্যান্য মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে জাহিদুল শিকদার ক্ষিপ্ত হয়ে তার কাঠের ঘরের দরজা আটকানো ডাসা/খিল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে খাদিজার মাথা লক্ষ্য করে বাড়ি মারলে উক্ত বাড়ি মাথার ডান পাশের পিছনে লেগে মারাত্মক হাড়ভাঙ্গা রক্তাক্ত জখম হয়। তখন তার নাক, মুখ, কান দিয়ে অনবরত রক্ত বের হতে থাকে। ভিকটিম খাদিজা বেগম মাটিতে পড়ে মরণ যন্ত্রনায় গড়াগড়ি শুরু করলে অন্যান্য আসামিরা তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, চড় লাথি, ঘুষি মেরে ফোলা জখম করে। একপর্যায়ে সকল আসামীরা ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে খাদিজা বেগমের জ্ঞান না ফিরলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। ঘটনার বিষয়ে রমিজ শিকদারের ভাগ্নি ঝুমি, মোবাইল ফোনে ভিকটিমের পিতাকে সংবাদ দিলে ভিকটিমের পিতা তাৎক্ষনিক তার পরিবারের লোকজন সহ অন্যান্য লোকজন নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই।

ঘটনার পরদিন ভিকটিমের জ্ঞান ফিরলে আসামিদের কার্যকলাপের বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। ভিকটিম খাদিজা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১২ ডিসেম্বর) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মো.আব্দুল্লাহ মোল্যা বাদী হয়ে কালিয়া থানায় এজাহার দায়ের ও মামলা করেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com